রংধনু গ্রুপের মালিক রফিকুল ইসলামের বিলাসবহুল হোটেলসহ ৩৩ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে সিআইডি।
এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন এবং বিদেশ অর্থপাচারের অভিযোগে রফিকুল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটে একটি মানিলন্ডারিং মামলার তদন্তও চলছে।
সোমবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, রফিকুল ইসলাম রংধনু বিল্ডার্স এর নামে ইসলামী ব্যাংক বারিধারা শাখা থেকে ৪০০ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক বসুন্ধরা শাখা থেকে ২৭০ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ২০০ কোটিসহ আরও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রতারণা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়েছেন। সেই টাকা পরিশোধ না করেই বিদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন এবং বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করেছেন।
মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বনানী ১৭ নম্বর রোডে ৬ শতাংশ ২ ছটাক জমির ওপর নির্মিত ৯ তলা ভবনসহ হোটেল ইউনিক রিজেন্সি এবং সমবায় ব্যাংক বাংলাদেশের কাছে জামানত হিসাবে রাখা ৩৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া যায়
পরে আদালতের নির্দেশে সিআইডি ওই হোটেল ক্রোক করে এবং ব্যাংকে থাকা অর্থ ফ্রিজ করে।
মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, অর্থের উৎস অনুসন্ধান, বিদেশে পাচার করা সম্পদের সন্ধান ও এসব ঘটনায় রফিকুল ইসলামের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত চালাচ্ছে বলেও জানান বিশেষ পুলিশ সুপার।