যৌন নির্যাতনের দ্রুত বিচার নিশ্চিতে আইন সংশোধন

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read

নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে নির্ধারিত আইনে কিছু সংশোধন করা হয়েছে। এতে শিশুদের বিরূদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলাগুলো এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় দ্রুত বিচার পাচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে বুধবার রাতে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের মুখোমুখী করতে আইনে সংশোধিত আইন অনুযায়ী শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের জন্য শিশু ধর্ষণ অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তদন্ত ও বিচার দ্রুত করতে হবে। পরিবর্তিত নতুন আইনের অধীনে অপরাধের তদন্ত ৩০ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে, এবং বিচার ১৮০ দিনের পরিবর্তে ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। এর আগে এই আইন নির্ধারিত সময়সীমা মানা হয়নি, তাই এবারের বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ।’

এতে আরও জানানো হয়, এখন বিচারকরা মেডিকেল সনদ ও প্রাসঙ্গিক প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার শুরু করতে পারবেন, আগের মত ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য থেকে জানা যায়, গত চার বছরে ২ হাজার ৬৪৫ জন মেয়ে এবং ২৫১ জন ছেলে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এসব ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবার সাহস করে এই নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও, এসব বিচারপ্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতিতে এগিয়েছে। এক্ষেত্রে তদন্তে সাধারণত ছয় মাসের বেশি সময় লেগেছে এবং বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হতে বছরের পর বছর কেটে গেছে। এতে অপরাধীরা শাস্তি এড়িয়ে যেতে পেরেছে, তাই এ ব্যবস্থা নারী ও শিশুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়ার ধীরগতি অপরাধীদের মধ্যে শাস্তির ভয় কমিয়ে দিয়েছে। কিছু অপরাধী আগের মামলার বিচার শেষ হওয়ার আগেই পুনরায় ধর্ষণ করেছে। কেউ কেউ কখনোই বিচারের মুখোমুখি হয়নি।

তাই দ্রুত বিচারে অপরাধীদের মনে শাস্তির ভয় এবং শিশুদের নিরাপত্তা বাড়াতে সংশোধিত আইনে দ্রুত সময়ে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা জরুরি। এতে ভুক্তভোগীদের কিছুটা মানসিক শান্তি নিশ্চিত হয় বলেও পোস্টে উল্লেখ করা হয়।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *