২০০৫ সালে লর্ডসে টেস্ট অভিষেক। ১৬ বছরের সেই মুশফিকুর রহিম কদিন আগে পেরিয়েছেন ৩৮-এর ঘর। ২০ বছরের দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়া্রে মুশফিক পোড় খেয়ে পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের কত বাঁকবদলের সাক্ষী তিনি। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলে হয়েছেন সর্বোচ্চ রানের মালিকও। অপেক্ষায় আছেন দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার দোরগোড়ায়। সব মিলিয়ে বিদায়ের সুর শুনতে পাচ্ছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। ক্যারিয়ারের প্রায় সায়াহ্নে এসে মুশফিক বলছেন, এখন যা হচ্ছে সবই তার কাছে স্পেশাল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে মুশফিক খেলেছিলেন ১৯১ রানের ইনিংস। এরপর ১৩ ইনিংসে ছুঁতে পারেননি কোনো ফিফটি। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৪০ রানের। টানা ব্যর্থতায় দলে জায়গা পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সেসবের জবাব মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে বেশ আড়ম্বরেই দিলেন মুশফিক, ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরিতে।
১৮৬ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত থেকে মুশফিক শেষ করেছেন প্রথম দিনের খেলা। সংবাদ সম্মেলনে এসে কথা বললেন, সেই ইনিংস নিয়েই। এই সেঞ্চুরি কতটা স্পেশাল, এই প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘স্পেশাল কিছু না… আমি আমার ক্যারিয়ারের একদম শেষ পর্যায়ে। এখন সবকিছুই স্পেশাল। আমি চেষ্টা করি নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার, শতভাগ চেষ্টা করে নিজের প্রস্তুতি নেওয়ার। সামনে যে সুযোগই আসে না কেন তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। এটা অনেক সময় হয়, অনেক সময় হয় না।’
গল টেস্টে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে ২৪৭ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরিয়েছেন দলকে। যেখানে দারুণ অবদান অধিনায়ক শান্তর। দিন শেষে ১৪ চার ও এক ছক্কায় ২৬০ বলে ১৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এই ইনিংসের পুরোটাই নন স্ট্রাইকে থেকে দেখেছেন মুশফিক। তাই প্রশংসাও ঝরল তার কণ্ঠে।
শান্তর ইনিংস নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘শান্ত তো মাশাআল্লাহ অনেক দিন ধরেই ভালো খেলছে। টেস্টে ওর রেকর্ড ভালো, অধিনায়ক হিসেবেও তার রেকর্ড ভালো, ব্যাটসম্যান হিসেবেও ভালো। এটা বিশেষ কিছু না। আমার কাছে ওর কন্ট্রলড ইনিংসটা ভালো লেগেছে। এর আগে ক্যান্ডিতে সে সেঞ্চুরি করেছিল। এটা আমাদের পরের ব্যাটারদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কেউ বড় একটা অর্জন করলে এটা উদযাপন করতেই হয়। সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে এই দায়িত্বটা আমার ওপর আরও বেশি।’