মজলুমরা উৎফুল অহংকারী হয়ে জালিম হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। শনিবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।
জুলাইয়ের পর পর অনেকে অহংকারে ও জুলুমে লিপ্ত হচ্ছে উল্লেখ করে নুর বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি এই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের অংশীজনেরা মজলুমরা আজকে উৎফুল অহংকারী হয়ে জালিম হয়ে উঠছে তাই আপনাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই আমরা যদি সীমা লঙ্ঘন করি শেখ হাসিনার মতো আল্লাহ পাকও কিন্তু আমাদেরকে ছাড় দেবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ছাত্র-জনতার রক্ত এবং আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত পরিবর্তনকে টেকসই করতে হলে সরকারকে শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন আনতেই হবে। কেবল নির্বাচনের দিকে হাঁটলেই হবে না। আগে একটি নিরপেক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সব রাজনৈতিক দল নির্বিঘ্নে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারে এবং একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচন না হওয়ায় জনগণের দুর্ভোগের কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘১১ মাস ধরে কোনো জনপ্রতিনিধি নেই। এই অচলাবস্থা থেকে মুক্তির জন্য অবিলম্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
ডাকসুর অচলাবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাকে বলে, ডাকসুর চাবি কি আপনি নিয়ে গেছেন? ডাকসু তো আর খোলেই না। আমি বলতে চাই, ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তনের ধারা শুরু করতে হবে।’
নুর করেন, ‘এই জুলাই মাসেই সরকার জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবে। অন্যথায়, এই ঐতিহাসিক পরিবর্তনের অংশীদাররা ঐক্যমতের ভিত্তিতে নতুন ঘোষণা দিতে বাধ্য হবে, যেভাবে ইতোমধ্যে ইসলামী আন্দোলন, জামায়াত ও অন্যান্য দল এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে।’