ভোটে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির দাবি জামায়াতের

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন হামিদুর রহমান আযাদ। ছবি: টাইমস

দেশে নির্বাচনের জন্য এখনও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। নির্বাচন কমিশনের কাছে সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেছেন তিনি।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই জামায়াত নেতা। সেখানে জানান, সিইসির সঙ্গে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জামায়াত কী চায়, ইসি কী বলেছে সেসব কিছু।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘দেশে নির্বাচনের জন্য এখনো “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” আসেনি। সে কারণে আমরা অন্যান্য দাবির সঙ্গে জোরালোভাবে বলছি যে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে, যেটা এখনো অনুপস্থিত আছে।’

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছে যে এই উদ্বেগ নিরসনে কাজ চলছে।

হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে জামায়াতের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা মহানগর উত্তর ও কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুর রহমান মূসাসহ মোট পাঁচজন।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে জামায়াতের কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে হামিদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছিল ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে আপনারা নির্বাচনের টাইমলাইন দিতে পারেন। তো আমরা এখানে সরকারকে বাধ্য করি নাই। চলতি বছরের ডিসেম্বরেও যদি নির্বাচন হয়, তাতেও জামায়াতে ইসলামীর কোনো আপত্তি নেই।’

পিআর পদ্ধতি ছাড়া জামায়াত নির্বাচনে যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির এই নেতা বলেন, ‘ফেয়ার ইলেকশনের ব্যাপারে অলওয়েজ আমরা সিনসিয়ার ছিলাম। এই পদ্ধতিটাও আমরা সিনসিয়ারলি মনে করি যে দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে, একটা বেস্ট পদ্ধতি।’

‘একটা দল নির্বাচনের মাঠে থাকার প্রস্তুতি নেওয়া দ্বারা এটা বুঝায় না যে, নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য এটা করছি। নির্বাচনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আবার পিআর ছাড়া যাব কিনা যদি প্রশ্ন সামনে আনি, তাহলে এখানেও আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। এটা একটা উত্তম পদ্ধতি বলে আমরা মনে করি। জনগণ মনে করছে। জনগণ চাইলে অবশ্যই সরকারকে এটা মানতে হবে। এজন্য আমরা ইলেকশনে যাব কি যাব না- এ প্রশ্নটি জবাব দেওয়ার এখনো ম্যাচিউরড সময় আসে নাই।’

যদি দিন শেষে পিআর পদ্ধতি চালু না হয় তাহলে জামায়াত কী করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী হচ্ছি, সাড়া পাচ্ছি। এটা পপুলার একটা আইটেম হয়ে গেছে, এখন বাংলাদেশে আলোচিত আইটেম হয়ে গেছে।’

৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে জনমত গঠনে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *