জম্মু-কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণরেখায় সীমান্তের কয়েকটি স্থানে ভারত ও পাকিস্তান সেনারা গুলি বিনিময় করেছে বলে দুই দেশের গণমাধ্যম জানিয়েছে।
দুই পক্ষই গুলি বিনিময়ের জন্য একে অপরের উস্কানিমূলক আচরণকে দায়ী করেছে।
এদিকে ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে জানিয়েছে, ইসলামাবাদের একাধিক চুক্তি লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় তাদের পক্ষ থেকে সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে।
ভারতের পানি সম্পদ সচিব দেবশ্রী মুখার্জি পাকিস্তান প্রতিনিধি সৈয়দ আলী মুর্তজাকে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ভারতের চুক্তিভিত্তিক অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘সততার সঙ্গে চুক্তি রক্ষা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি মৌলিক নীতি। কিন্তু আমরা যা দেখছি, তা হলো ভারতের সার্বভৌম জম্মু ও কাশ্মীরকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান ধারাবাহিকভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।’
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। এ ঘটনায় দিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
ভারতের পুলিশ হামলায় জড়িত সন্দেহে তিন জঙ্গির নাম প্রকাশ করেছে, যাদের মধ্যে দু’জনকে পাকিস্তানি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এ দাবির পক্ষে ভারত সরকার এখনো কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।
কাশ্মীর হামলার জেরে ভারত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এর আগের দিন (২৩ এপ্রিল) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয় ভারত– যার মধ্যে সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিত, আটারি সীমান্তে চেকপোস্ট বন্ধ এবং হাই কমিশনের কর্মীসংখ্যা হ্রাসের সিদ্ধান্ত রয়েছে।
এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের জন্য আকাশপথ বন্ধের পাশাপাশি পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাকিস্তান বলছে, কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের প্রতিক্রিয়াগুলো অতি-প্রতিক্রিয়াশীল এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।