কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল না ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। আগামী কয়েক দিন ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জারি করা নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- কর্মস্থল ত্যাগ না করা, বাঁধের দুর্বল অংশ চিহ্নিত করে তা ঝুঁকিমুক্ত করা এবং অন্যান্য স্থানে ভাঙন প্রতিরোধে সতর্ক থাকা; জিও-টেক্সটাইল বস্তার মত জরুরি উপকরণ মজুত রাখা, যে কোনো জরুরি অবস্থা তৈরি হলে দ্রুত উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; স্থানীয় ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অবহিত করা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত দেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং মঙ্গলবার পর্যন্ত রংপুর ও সিলেট বিভাগে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আগামী পাঁচ দিন হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে উত্তরাঞ্চল, রংপুর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, সিলেট এবং উপকূলীয় এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের দপ্তরগুলোকে এসব নির্দিষ্ট নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বাঁধে চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নদীবন্দরগুলোকে সতর্কবার্তা:
শুক্রবার আবহাওয়া অফিস থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ–পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
জুলাই মাসের জন্য মাসিক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একাধিক লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, জুলাই মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে, যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। তবে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, জুলাই মাসে ৫ থেকে ৬ দিন দেশের কিছু অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টি এবং বিদ্যুৎ চমকানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া মাসজুড়ে এক থেকে দুই দফা বিচ্ছিন্ন মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকতে পারে বলেও আভাস দেওয়া হয়েছে।
মাসের প্রথমার্ধে মৌসুমি বৃষ্টির কারণে দেশের বড় নদনদীর পানিপ্রবাহ বাড়তে পারে, তবে দ্বিতীয়ার্ধে এ প্রবাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।