ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। বুধবার এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুই দেশকে শান্ত থাকার পাশাপাশি সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে জানানো হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
এতে বলা হয়, ‘আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ আশাবাদী যে এই উত্তেজনা কূটনৈতিকভাবে নিরসন হবে এবং শান্তি ফিরে আসবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বুধবার রাতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে ‘বেসামরিক নাগরিক’ নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ২৬ এবং আরও ৪৬ জন আহত হয়েছেন। পাক সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এ দিন দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন।
তবে ভারতের প্রভাবশালী নয়াদিল্লি টেলিভিশন (এনডিটি) দাবি করেছে, ভারতের ওই হামলায় নিহত হয়েছে ৭০ জন। এদিন দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বেসামরিক নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে ‘যুদ্ধ মহড়ার’ প্রশিক্ষণ। মহড়ায় বিমান হামলাকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব।
সুনির্দিষ্টভাবে কেবল নয়টি জঙ্গি আস্তানায় হামলার ভারত সরকারের দাবি অস্বীকার করে পাকিস্তান বলছে, যেসব স্থানে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো আসলে বেসামরিক এলাকা। ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বাহাওয়ালপুর ও মুজাফফরাবাদ সংলগ্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে।
গত মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে এক বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহতের জেরে ভারত সরকার পাকিস্তানে ওই হামলা চালাল। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তান-ভিত্তিক ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকেই দায়ী করে আসছে। পাকিস্তান অবশ্য এসব অভিযোগ নাকচ করেছে এবং পাল্টা অভিযোগ করে বলেছে, ভারতই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ প্রেক্ষাপটে বুধবার প্রতিবেশী দুইদেশ সরাসরি সংঘাতে জড়াল।