ভারত থেকে ১৮ জনকে মৌলভীবাজার সীমান্তে ঠেলে (পুশ ইন) দেওয়া হয়েছে। পরে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) তাদের আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি এবং বাকি ১৭ জন মিয়ানমার নাগরিক।
বিজিবি জানায়, সীমান্ত থেকে প্রায় ৫০০ গজ ভেতরে শাহবাজপুর চা বাগান এলাকায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ওই সময় ৪ জন পুরুষ, ৫ জন নারী ও ৮ জন শিশুকে বাংলাদেশ সীমান্তে ঠেলে দেয়। টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আটক করে।
বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী জানান, পরিচয় নিশ্চিত করে আটক ব্যক্তিদের বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করার পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গত ২৮ আগস্ট ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক দালজিৎ সিং চৌধুরী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফ-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্ব দুই দেশের মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন হয়। এর যৌথ ঘোষণায় সীমান্ত পুশইন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে এ বিষয়ে বিএসএফ মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা।
তাকে প্রশ্ন করা হয়, ‘১৫ বছরে সীমান্তে পুশইনের ঘটনা না ঘটলেও, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে দুই হাজারের বেশি পুশইনের পেছনে কোনো সুনির্দষ্টি কারণ আছে কি না?’
জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক সাফ জানিয়ে দেন, এর পেছনে কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই। ‘কোনো পুশইন হচ্ছে না’ দাবি করে দালজিৎ সিং চৌধুরী বলেন, ‘ভারতে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা ফিরে যাচ্ছেন।’
তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিজিবি প্রধান এর প্রতিবাদ জানান। সেই সঙ্গে সীমান্তে হত্যা ও পুশইন বন্ধ করা, আকাশসীমা লঙ্ঘন না করা, মাদক, অস্ত্র বাণিজ্য এবং মানব পাচার প্রতিরোধ, যৌথ নদী কমিশন অনুমোদিত নদীর তীর সংরক্ষণকে সম্মেলনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে বিএসএফ পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও জানান বিজিবি মহাপরিচালক।