আজ ২০ জুলাই, বিশ্ব দাবা দিবস। দাবা—এই প্রাচীন বুদ্ধির খেলা আজ বিশ্বের নানা প্রান্তে উদযাপিত হচ্ছে নানা আয়োজনে। আর সেই উৎসবের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো “আন্তর্জাতিক দাবা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সেইলর চেকমেট নারায়ণগঞ্জ ২০২৫ ইন্টার স্কুল ইন্টারন্যাশনাল র্যাপিড রেটিং দাবা টুর্নামেন্ট”।
নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী মহসিন ক্লাবে দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় জেলার ও জেলার বাইরের বিভিন্ন স্কুলের ৬০ জন প্রতিযোগী। ৭ রাউন্ড সুইস লিগ পদ্ধতিতে খেলা এই টুর্নামেন্টে রয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার, টি-শার্ট ও সার্টিফিকেট।
দিনশেষে খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিবেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ। টুর্নামেন্টটির আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জের মহসিন ক্লাব, পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল সেইলর এবং সহযোগিতায় বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন।
খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে ভারতে ‘চতুরঙ্গ’ নামে দাবার পূর্বসূরি এক খেলার জন্ম হয়। সেখান থেকে তা পারস্য হয়ে আরব, এবং পরে ইউরোপের রাজপ্রাসাদে জায়গা করে নেয়। সময়ের সঙ্গে বদলেছে নিয়ম, হয়েছে আধুনিক। আজ দাবা শুধুই খেলা নয়, বুদ্ধির এক সম্মানজনক লড়াই।
বাংলাদেশে দাবার শুরু মূলত স্বাধীনতার পরপরই। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন। বিশ্বনাথন আনন্দ বা ম্যাগনাস কার্লসেনের মতো গ্র্যান্ডমাস্টারের দেশে দাবা খেলাকে এগিয়ে নিচ্ছে আমাদেরও একঝাঁক প্রতিভাবান খেলোয়াড়। বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে উঠে এসেছেন একাধিক আন্তর্জাতিক মাস্টার এবং গ্র্যান্ডমাস্টার, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জিয়াউর রহমান, এনামুল হোসেন রাজীব ও রিফাত বিন সাত্তার।
দাবা হোক তরুণদের মননশীলতার চর্চা আর সাফল্যের সিঁড়ি। নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত এই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল স্কুল দাবা টুর্নামেন্ট প্রমাণ করে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সম্ভাবনাময় দাবাড়ুরা সঠিক দিকনির্দেশনা আর উৎসাহ পেলে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও নিজেদের অবস্থান গড়ে তুলতে পারবে। এমন আয়োজন শুধু একদিনের উদযাপন নয়, বরং একটি বুদ্ধিভিত্তিক প্রজন্ম গড়ার পথে সাহসী পদক্ষেপ।