লিবিয়া থেকে দেশে আসা মানব পাচার চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানিয়েছে, এই ব্যক্তি যে চক্রের সদস্য তারা চারটি নৌকায় করে ৪০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ইতালিতে অবৈধভাবে পাঠিয়েছিল। এতে ভুক্তভোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক সদস্যও চক্রটির সঙ্গে জড়িত বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের দেওয়া আউটপাসে বৃহস্পতিবার সকালে ১৭৫ জন বাংলাদেশি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ফরম পূরণের সময় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহযোগিতায় মানব পাচার চক্রের ওই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সাখাওয়াত হোসেন (৪২)। তিনি ফেনী জেলার বাসিন্দা এবং বিমানবন্দর ও কিশোরগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা মানবপাচার মামলার আসামি।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) জসীম উদ্দিন খান বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাখাওয়াত স্বীকার করেছেন তিনি প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশিকে চারটি বোটে করে লিবিয়া থেকে ইতালি পাঠান। এভাবে তিনি বিপুল অর্থ হাতিয়েছেন।’
জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকজন পাচারকারী ও সহযোগীর নাম উঠে এসেছে বলেও জানান তিনি। যার মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক ট্রাফিক সহযোগীও রয়েছেন।
এ ছাড়া আরও ৪ থেকে ৫ জন অজ্ঞাত সহযোগীর নাম পাওয়া গেছে, যারা বিদেশে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের পাচার, আটক এবং মুক্তিপণ আদায়ে সক্রিয় ছিল।