বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তার (ফজলুর রহমান) বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানাতে তাকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্রে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে এই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার তথ্য জানা গেছে।
ফজলুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আপনি জুলাই-আগস্ট ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন এবং আত্মদানকারী শহীদদের নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা সম্পূর্ণরূপে দলীয় আদর্শ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মহিমান্বিত এই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নিয়ে আপনার বক্তব্য জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আপনার বক্তব্য দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করার সুপরিকল্পিত চক্রান্তের প্রয়াস বলে অনেকেই মনে করে। এমনকি আপনি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত দিয়ে কথা বলছেন।’
‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির সাড়ে চার শ’র বেশি নেতাকর্মীসহ ছাত্র-জনতার প্রায় দেড় হাজারের অধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং ৩০ হাজারের অধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার এ ধরনের বীরোচিত ভূমিকাকে আপনি প্রতিনিয়ত অপমান ও অমর্যাদা করছেন,’ নোটিশে বলা হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘এ ধরনের উদ্ভট ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্যের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার যথাযথ কারণ দর্শিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
এ বিষয়ে ফজলুর রহমানের মন্তব্য জানতে চাইতে গেলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তিনি নোটিশের কথা শুনেছেন। কিন্তু সেটা এখনো হাতে পাননি। তাই এ নিয়ে কোনো মন্তব্যও করতে চান না।