দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে আশাবাদী ইসহাক দার, জানালেন বিএনপি নেতা

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ইসহাক দারের সাক্ষাতের পর তা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডা. জাহিদ হোসেন। ছবি: ভিডিও থেকে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে আশার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, রোববার রাতে সাংবাদিকদের এমনটিই জানালেন বিএনপি নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

গুলশানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পাকিস্তানের তরফে কোনো ব্রিফ করা না হলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ। তার কাছ থেকেই জানা যায়, দুই নেতার সাক্ষাতে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কোন কোন বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকের পর ডা. জাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী দিনে বাংলাদেশ একটি সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি (ইসহাক) মন্তব্য করেছেন, বলেছেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে তিনি আশাবাদী। তারা এটির প্রশংসাও করেছেন।’

বাংলাদেশের গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘ বাংলাদেশ যেহেতু নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, সেহেতু তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে, সে কথাও তিনি বলেছেন।’

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাকে (সার্ক) গতিশীল করার বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সেটা যখন সুযোগ আসবে, তখন দেখতে পাবেন। সার্ককে গতিশীল করার জন্য বিএনপি যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।’

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ উল্লেখ করে তার এই ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, ‘পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী এসেছেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। কথা বলার ফাঁকে ম্যাডাম হয়ত জিজ্ঞেস করেছেন যে আপনাদের দেশে বন্যা কেমন হয়েছে, আগে বন্যা বাংলাদেশেও হতো, এখন আপনাদের দেশেও হচ্ছে। এমন কিছু কথা হয়েছে।’

কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সার্ক নিয়ে তারা যেমন বলেছেন, ম্যাডামও তেমনি সার্কের স্মৃতিচারণ করেছেন। সার্ক প্রতিষ্ঠা হওয়ার সময় কী অবস্থা ছিল, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সার্কের যে ঘোষণা, পরবর্তীতে তার পাকিস্তান সফর, বাংলাদেশেও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সফর—এগুলো নিয়েও কথা হয়েছে।’

এটিকে কুশলবিনিময় বা স্মৃতিচারণের সাক্ষাতও বলা যেতে পারে, জানান ডা. জাহিদ।

তিনি বলেন, ‘দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভবিষ্যতে যাতে দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবাই যাতে মিলিতভাবে কাজ করতে পারি, সে আলোচনা তারা করেছেন।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *