ইংল্যান্ডে জন্ম, কিন্তু মনের টান বাংলাদেশের দিকে। সেই টানেই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন কিউবা মিচেল। তার বাংলাদেশের হয়ে খেলার প্রক্রিয়ায় বড়সড় অগ্রগতি হয়েছে—নানা-নানীর জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র আর দ্বৈত নাগরিকত্বের কাজ শেষ। এখন অপেক্ষা কেবল শেষ ধাপের।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, এখন মিচেলের মায়ের বাংলাদেশের পাসপোর্ট করার পালা। এই কাজে প্রয়োজন বায়োমেট্রিক যাচাই, যা সম্পন্ন করতে মিচেল এবং তার মা ব্রিটিশ হাইকমিশনে যাবেন কিছুদিনের মধ্যেই।
২১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার এখন ইংল্যান্ডের সান্ডারল্যান্ড এএফসি অনূর্ধ্ব-২১ দলের সদস্য । তবে স্বপ্নটা অনেক বড়—লাল-সবুজের জার্সিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহের কথা তিনি আগেই জানিয়েছেন, আর পুরো প্রক্রিয়ায় যে আন্তরিকভাবে জড়িত, সেটা দেখে খুশি বাফুফে।
সবকিছু ঠিকঠাক চললে, মিচেল হয়তো পরবর্তী আন্তর্জাতিক উইন্ডোতেই ডাক পেয়ে যেতে পারেন। অবশ্য তার আগে লাগবে ফিফার আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র। লেস্টার সিটির হামজা চৌধুরির মতো তিনিও ইংল্যান্ডের হয়ে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে খেলেছেন, কিন্তু এখন বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তৈরি।
মিচেলের এই যাত্রা শুধু একজন ফুটবলারের গল্প নয়, বরং প্রবাসী প্রতিভা দিয়ে জাতীয় দলকে শক্তিশালী করার এক বড় পদক্ষেপ। কানাডার শামিত শোমও সম্প্রতি বাংলাদেশে খেলার আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য বলছেন, “কিউবা মিচেল প্রচণ্ড আগ্রহী, এবং দারুণ সহযোগিতা করছেন সব প্রক্রিয়ায়। ভবিষ্যতের জন্য ওর প্রতি আমাদের অনেক আশা।”
সবকিছু ঠিক থাকলে, লাল-সবুজের জার্সিতে মিচেলের অভিষেক শুধু এক তরুণের স্বপ্নপূরণই হবে না—এটা হতে পারে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাংলা-রক্তের জন্য গর্বের মুহূর্ত। হতে পারে জাতীয় দলের নতুন যুগের সূচনা।