উত্তর মেরুর ধারে, বরফে মোড়া এক শহর, রাতের আকাশে ঝিরঝিরে বৃষ্টি — এর মধ্যেই স্পারস দেখিয়ে দিল, ইউরোপা ফাইনালে উঠতে হলে মাঠ, আবহাওয়া কিছুই থামাতে পারে না। নরওয়ের বডো/গ্লিমটকে ২-০ গোলে হারিয়ে মোট ৫-১ ব্যবধানে ফাইনালের টিকিট কেটে ফেলেছে টটেনহ্যাম হটস্পার।
প্রথম লেগে ৩-১ জিতে কিছুটা স্বস্তি নিয়েই এসেছিল তারা। তবে যেই মাঠে আগেরবার হেরেছে পোর্তো, বেসিকতাস আর লাজিওর মতো দল, সেখানে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু স্পারস ছিল ঠান্ডা মাথার, আর কাজটা করেছে একদম পেশাদার ভঙ্গিতে।
ম্যাচের শুরুতে দাপট ছিল নরওয়েজিয়ানদের। স্টেডিয়াম গর্জে উঠছিল, ইতিহাস গড়ার আশায়। কিন্তু গোলমুখে কার্যকারিতা ছিল না। সবচেয়ে ভালো যে সুযোগটা তারা পেয়েছিল, ওলে ব্লমবার্গের ভয়ংকর ভলিটা গিয়ে লেগেছিল সাইড নেটিংয়ে।
আর তার পরই স্পারস দেখাল আসল চেহারা। দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফিরে এল তারা। ৬৩ মিনিটে সোলাঙ্কে ঠেলেঠুলে ঢুকিয়ে দিলেন গোল — আগের লেগেও গোল করেছিলেন। এরপর পেদ্রো পোরোর ‘ক্রস না শট’— কে জানে — তবে বল তো ঢুকল ঠিকই জালে! গোলকিপার কিছুই বুঝে ওঠার আগেই স্পারস সমর্থকদের উল্লাস।
মজার ব্যাপার কী জানেন? প্রিমিয়ার লিগে এই টটেনহ্যামই আছে ১৬ নম্বরে! ৩৫ ম্যাচে ১৯ হার! এত বাজে ফর্ম নিয়েও এখন তারা একেবারে ইউরোপা লিগের ফাইনালে! প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড — যাদের অবস্থাও কম খারাপ নয়। দুই দলই মরিয়া, অন্তত একটা ট্রফি নিয়ে মৌসুমটা শেষ করতে।
এমন একটা মরসুমে, যেখানে আশার আলো প্রায় নিভে যাচ্ছিল, সেইখানেই যেন আলো জ্বালাল স্পারস। বরফ ঠেকাতে পারেনি, বৃষ্টি থামাতে পারেনি — এবার কি ট্রফিটাও ধরে ফেলবে তারা?