চ্যাম্পিয়নস লিগ মানেই তো নাটক, আর সেমিফাইনাল হলে তো কথাই নেই। তবে মঙ্গলবার রাতে সান সিরোতে যা হলো, সেটা যেন সিনেমার চিত্রনাট্য!
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছিল না কে যাচ্ছে মিউনিখে ফাইনাল খেলতে। ৮৭ মিনিটে রাফিনহার গোলে বার্সা যখন প্রায় নিশ্চিত করেই ফেলেছিল, তখনই হঠাৎ ঝলকে উঠলেন ইন্টারের সবচেয়ে অভিজ্ঞ সৈনিক—৩৭ বছরের ফ্রানচেস্কো আচেরবি। জীবনের প্রথম ইউরোপীয় গোলটাই এমন একটা সময়ে করে বসলেন, যাতে ম্যাচটা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
আর অতিরিক্ত সময়ে বাজিমাত করলেন দাভিদে ফ্রাতেসি। নামার পরপরই বল পেলেন থুরামের কাছ থেকে, আর দুর্দান্ত এক কার্ল শটে বল পাঠিয়ে দিলেন জালে—৯৯ মিনিটে গোল, আর ইন্টারের স্বপ্ন নতুন করে জেগে উঠল।
পুরো ম্যাচটা ছিল টানটান উত্তেজনার। শুরুতে ইন্টারই ছিল এগিয়ে—লাওতারোর গোলে লিড, চালহানওগলুর পেনাল্টিতে ব্যবধান ২-০। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সা। এরিক গার্সিয়া আর ওলমোর দুই গোলেই সমতা ফিরে আসে।
ইন্টারের গোলরক্ষক ইয়ান সোমার পুরো ম্যাচেই ছিলেন দেয়ালের মতো। বিশেষ করে লামিন ইয়ামালের দুটো শট ঠেকানো—সেটা না হলে গল্পটাই হয়তো অন্য রকম হতো।
ম্যাচ শেষে আবেগে কাঁপছিলেন ফ্রাতেসি। বললেন, “গোলটার পর এত চিৎকার করছিলাম, মনে হচ্ছিল বেহুশ হয়ে যাব! পুরোপুরি ফিটও ছিলাম না, ফিজিওদের ধন্যবাদ দিতে হয় আজকের জন্য।”
এদিকে বার্সা ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়ার কণ্ঠে হতাশা, “ফুটবল আজ আমাদের সঙ্গে খুব কঠোর ছিল। কিন্তু আমরা দেখিয়েছি, কতটা লড়াই করতে পারি।”
এই ৭-৬ স্কোরলাইন চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে সমান রেকর্ড—২০১৮ সালে লিভারপুল-রোমা ম্যাচেও ছিল একই রকম পাগলাটে নাটক।