রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘রোজার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
শনিবার বিকালে রংপুর পুলিশ সদর দপ্তরের হল রুমে বিভাগের আট জেলার প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সজাগ থাকবে। তবে কোনো ঘটনা ঘটলে তদন্তসাপেক্ষে ভোট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘রংপুরের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তারাও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’
এর আগে রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেছিলেন, ‘বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো, আরো উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আমরা চাই যাতে শান্তিপূর্ণ ও নির্ভয়ে মানুষ পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারেন। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ভুলে গেছে। তাদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াই নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ। এজন্য সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।’
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অস্ত্রের চেয়ে এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এআই-এর ব্যবহার। এআই হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার। এটি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না, সাংবাদিকরা আমাদের পক্ষ। যারা প্রফেশনাল সাংবাদিক, তারা আমাদের হয়ে কাজ করবেন, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য কাজ করবেন—এই প্রত্যাশা আমাদের আছে।
এআইয়ের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, এটি মোকাবেলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় নাগরিকদের উদ্দেশ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট দেওয়া যেমন নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি ঈমানি দায়িত্বও বটে।