ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু কেনাবেচায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে প্রস্তুত ১৯টি হাট। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে পশু কেনাবেচা। পাশাপাশি আরও তিনটি চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। এরমধ্যে ঢাকা উত্তরে ১২টি এবং ঢাকা দক্ষিণে বসেছে সাতটি পশুর হাট।
ঢাকা উত্তরে একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতেও কোরবানির পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে।
আর অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে– খিলক্ষেতের মস্তুল চেকপোস্ট সংলগ্ন খালি জায়গার হাট, তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট–সংলগ্ন খালি জায়গার হাট, উত্তরা দিয়াবাড়ি ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন বউ বাজারের খালি জায়গার হাট, মিরপুর-৬ নম্বর সেকশনে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গার হাট, মোহাম্মদপুর এলাকার বছিলা ৪০ ফুট সড়ক সংলগ্ন খালি জায়গায় হাট, উত্তরা-১০ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন রানাভোলা অ্যাভিনিউ খালি জায়গার হাট, ভাটারা সুতিভোলা খালের পাশে খালি জায়গার হাট, খিলক্ষেতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচের খালি জায়গায় হাট, কাচকুড়া বাজার সংলগ্ন রহমান নগর হাট, মেরুল বাড্ডা কাঁচাবাজার হাট এবং রামপুরার পূর্ব হাজিপাড়ার ইকরা মাদ্রাসা খালি জায়গায় হাট।

অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণে চূড়ান্ত হওয়া হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে– উত্তর শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘ ক্লাবের খালি জায়গায় হাট, ডেমরার আমুলিয়া আলীগড় মডেল কলেজের উত্তর পাশের খালি জায়গায় হাট, পোস্তগোলা শ্মশানঘাটের পশ্চিম পাশে নদীর পাড়ে খালি জায়গায় হাট, দনিয়া ক্লাবের পূর্ব পাশে ও ছনটেক মহিলা মাদ্রাসার পশ্চিমের খালি জায়গায় হাট, লালবাগের পোস্তা এলাকায় রহমতগঞ্জ ক্লাবের খালি জায়গায় হাট এবং হাজারীবাগে ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজের পূর্ব পাশের খালি জায়গায় হাট।
এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন স্থায়ী পশুর হাট সারুলিয়াতেও কোরবানির পশু বেচাবিক্রি শুরু হয়েছে।
ঈদ এগিয়ে এলেও দুই সিটিতে এখনো তিনটি হাট ইজারার বিষয় চূড়ান্ত করতে পারেনি দুই সিটি কর্তৃপক্ষ। কারণ, সরকারের নির্ধারিত দর না পাওয়া। ফলে এসব হাটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মতামত চেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়েছে দুই সিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
কোরবানির হাটে নিরাপত্তা
গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাটসহ ঢাকার কোরবানির হাটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘গাবতলীসহ অন্যান্য পশুর হাটের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট হাটে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপনের পাশাপাশি পাটুরিয়া ফেরিঘাট গরুর হাটে স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্প।’
তিনি জানান, জনসাধারণ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ছাড়াই যেন নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন, সে জন্য হাটে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
র্যাব অধিনায়ক মাহবুব হুঁশিয়ারি করেন, ‘পশু পরিবহনে যে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা এক হাটের পশু অন্য হাটে জোর করে নেওয়া বা মহাসড়কে পশুহাটসহ যে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে দ্রুত সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ সাংবাদিকদের জানান, স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য, প্রাণিসম্পদ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মিলে হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত, যানজট দূর, অবৈধ হাট বসতে না দেওয়া, হাটে আনা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে হাটগুলোতে থাকছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা, জাল টাকা শনাক্তের ব্যবস্থাও থাকবে বলেও জানান তিনি।