জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নয় প্রথমেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। কারণ একটি নির্বাচিত জাতীয় সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। জনগণ ১৭-১৮ বছর ভোট দিতে পারেনি। কাজেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য আগে জাতীয় নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়। এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট।’
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান’ শিরোনামে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামের সংগঠন।
এ সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের পক্ষ থেকে চারজনকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়।
সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা রুহুল কবির রিজভী। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে দলমতের ঊর্ধ্বৈ উঠে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
রিজভী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত নানাভাবে নানা কারণে ১৭৭টি হত্যাকান্ড ঘটেছে। যারাই এ সমস্ত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তারা যে দলেরই হোক, যে মতেরই হোক সরকারের উচিত আইনের মাধ্যমে তাদের বিচার করা। সরকার আইন-শৃঙ্খলা দেখবে। কোন পার্টির রং দেখবে না। কে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, কে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি নয়, কে ধনী কে গরিব এটা বিবেচনা করবে না। তাদের উচিত কারা অপরাধ করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা।’
‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অন্তবর্তী সরকারকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। আপনারা দৃষ্টান্ত রেখে যাবেন। নির্বাচিত সরকার আপনাদের ভালো দৃষ্টান্তগুলো অনুসরণ করে নিশ্চই আরো ভালো করার চেষ্টা করবে।’
বিগত সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষের যে আত্মদান, তা নিজ দেশের সরকারি বাহিনীর হাতে গুম হওয়ার জন্য নয়। শেখ হাসিনার সরকার পুলিশ বাহিনীকে বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করেছে। যারা গুমের মতো ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে অস্বীকার করেছে, সেসব পুলিশ সদস্যের তালিকা সরাসরি শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হতো। ফলে চাকরির ক্ষেত্রেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হতো তাদের। সেসব সাহসী পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্বের পুরস্কার দেওয়া উচিত এখন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবারে’র উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, মোকসেদুল মমিন মিঠুন, আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ।