ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানে না, কারা ভেঙেছে শাহবাগের ‘প্রজন্ম চত্বর’। এমনকি বিষয়টি জানে না গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। অথচ পুলিশ বলছে, প্রজন্ম চত্বর ভাঙার বিষয়ে এ দুটি সংস্থার পক্ষ থেকেই আগে আলাপ করেছিল।
শনিবার রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এটি ভেঙেছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার গভীর রাতে একটি বুলডোজার এনে কয়েকজন প্রজন্ম চত্বরের স্থাপনাটি ধ্বংস করে। সকালে সেখানে কাউকে দেখা যায়নি।
শাহবাগ থানার এক কর্মকর্তা জানান, কয়েকদিন আগে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা সিটি দক্ষিণ করপোরেশন জানায় এই স্থাপনা ভেঙে নতুন স্থাপনা নির্মাণ করার কথা। তবে শনিবার রাতে কারা এটি কার্যকর করেছে তা পুলিশ জানে না।

রোববার দুপুরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ফারুক আহম্মেদ টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, ‘প্রজন্ম চত্বর ভাঙার বিষয়ে আমি কিছু জানি না’।
বিষয়টি জানতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জহিরুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রাসেল রহমান টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, ‘প্রজন্ম চত্বর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ভাঙা হয়নি।’
২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাখ্যান করে ফাঁসির দাবিতে ব্লগারদের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা পরিণত হয় তারুণ্যের আন্দোলনে৷ লাখো জনতার সমাবেশে ‘শাহবাগ চত্বর’ বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয় এ আন্দোলনে৷ পরে শাহবাগের এ স্থানটি পরিচিতি পায় ‘প্রজন্ম চত্বর’ হিসেবে।
শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর দীর্ঘদিন ধরে বহুবিধ আন্দোলনে ব্যবহার হয়ে আসছে।