রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্যকোটা পুনর্বহালের দাবিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের বারান্দায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীন, রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আলম মাসউদ, প্রক্টর মাহবুবর রহমানসহ প্রায় ১০ জন কর্মকর্তা-শিক্ষককে শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এর আগে দুপুরে শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্যদ্বয়ের বাসভবনে তালা দিলে তারা প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে আসেন। পরে জুবেরী ভবনের দিকে গেলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে পিছু নেন। সেখানে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও ছাপাখানার এক কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে উপ-উপাচার্য দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নিলে শিক্ষার্থীরা সেখানেই তাকে ঘিরে ফেলেন।
ঘটনাস্থলে পরে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দীনসহ কয়েকজন শিক্ষক যোগ দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা জুবেরী ভবনের ভেতরেই আটকা পড়েন।
আন্দোলনকারীদের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘একটি মীমাংসিত ইস্যুতে প্রশাসনের অবস্থান অগ্রহণযোগ্য। আমরা শান্তিপূর্ণ অনশন করছি, অথচ প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা হয়েছে, যা আমরা মেনে নেব না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
রাবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন মাত্র চার দিন পর। অথচ হঠাৎ করে পোষ্যকোটা পুনর্বহালের ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ভর্তি ও শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম কোটাবিহীনভাবেই সফলভাবে চলছে। এই সময়ে কোটা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা স্পষ্টতই নির্বাচন ঠেকানোর কৌশল।’
তিনি জানান, ছাত্রশিবির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে এবং কোটা ইস্যুর অবসান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘পোষ্যকোটা বিষয়টি আমার একার সিদ্ধান্ত নয়, প্রশাসনের সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে আমাকে বাসায় যেতে দেবে না, খেতেও দেবে না—এমন আন্দোলন আমি কখনো দেখিনি।’