পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমা এলাকায় সশস্ত্রগোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ ঘোরাফেরার দাবি করে যে ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়েছে, তা ‘মিথ্যা’ বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টচেক।
সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ফ্যাক্টচেক অনুসন্ধান করে দেখেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি আদৌ ‘বান্দরবানের রুমায় কেএনএফ সদস্যদের অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরার দৃশ্য নয়। বরং, এটি ফিলিপাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী মোরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট (এমআইএলএফ)-এর একটি ভিডিও।’
গত ৪ জুলাই রুমা উপজেলার দুর্গম মুলপি পাড়ার পাহাড়ে সেনাবাহিনী-কেএনএফ-এর মধ্যে এক বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একজন কমান্ডারসহ দুই জন নিহত হন। ওই অভিযানে উদ্ধার হয় বেশকিছু অত্যাধুনি অস্ত্র-শস্ত্র ও নথিপত্র।
এর একমাসের মাথায় ফেসবুকে কেএনএফ-এর নামে ওই কেএনএফ-এর নামে ওই ‘ভুয়া ভিডিও’ ফেসবুকে ছড়াল।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টচেক বলছে, এই বিষয়ে অনুসন্ধানে, “শ্যুটার চ্যানেল’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৯ জুলাই হুবহু ওই একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির শিরোনামে ইংরেজিতে ‘ফিলিপিন্স’ শব্দ উল্লেখ রয়েছে। চ্যানেলটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেখানে একই ধরনের পোশাক পরা ব্যক্তিদের পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্রসহ ঘোরাফেরার আরও একাধিক ভিডিও রয়েছে।
তারা জানায়, গত ৩১ জুলাই ‘বিসিলিয়ান বিয়াফ’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও একই ভিডিও প্রকাশিত হয়। অ্যাকাউন্টের ট্রান্সপারেন্সি সেকশনে দেখা যায়, এটি ফিলিপাইন থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রেস উইং বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, ভিডিও পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের পোশাকে দুই ধরনের ব্যাজ রয়েছে। একটি আয়তাকার এবং অপরটি গোলাকার। এসব ব্যাজের সঙ্গে ফিলিপাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী মোরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট (এমআইএলএফ)-এর ব্যাজের মিল পাওয়া গেছে।
‘সুতরাং, ফিলিপাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী এমআইএলএফের একটি ভিডিওকে বান্দরবানের রুমায় কেএনএফ সদস্যদের অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে, যা “মিথ্যা”, উপসংহারে বলেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টচেক।