প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার আসামি ফারিহা হক টিনাকে (২০) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার একটি আদালত সোমবার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পারভেজ হত্যাকাণ্ডের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে টিনাকে সোমবার বিকেলে বনানী থানা পুলিশ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে।
আসামি ফারিহা হক টিনার পক্ষে কোনো আইনজীবী জামিন আবেদন করেননি।
শুনানি শেষে ঢাকা অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন, তাকে ১৯ এপ্রিল বনানীতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মাহাদী হাসান আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ফারিয়া মাহবুব ওরফে টিনা এ ঘটনার সাথে জড়িত বলে জানান। সেই সূত্রে আদালতের নির্দেশে গত শুক্রবার ভোর রাতে ঢাকার নর্দা জগন্নাথপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-১ এর সদস্যরা টিনাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। গ্রেপ্তারকৃত টিনা ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।
টিনা ছাড়াও এই মামলায় আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন মেহরাজ, হৃদয় মিয়াজি, মাহাথী, মো. আল কামাল শেখ, আলভি হোসেন জুনায়েদ এবং আল আমিন সানি। বর্তমানে তারা সবাই কারাগারে রয়েছেন।
এদের মধ্যে হৃদয় মিয়াজি ছিলেন বনানী ইউনিটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক এবং শোভন নিয়াজ তুষার ছিলেন বনানী ইউনিটের যুগ্ম আহ্বায়ক।
পারভেজ হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯ এপ্রিল বিকালে ক্যাম্পাসের সামনে বান্ধবী নিয়ে ‘হাসিহাসি’র অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই বহিরাগত কিশোর গ্যাং ডেকে আনলে বাকবিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে নিহত হন পারভেজ। তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকার বিরুনিয়া ইউনিয়ন। তার বাবা জসিম উদ্দিন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওইদিন রাতেই নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জন আসামি রয়েছেন।