প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহরাজ ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত শুক্রবার এ রিমান্ডের আদেশ দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মঈন উদ্দিন এদিন মেহরাজকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চান। অন্যদিকে মেহরাজের পক্ষে তার আইনজীবী এম এ মালেক তালুকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানিতে মালেক তালুকদার বলেন, ‘এ ঘটনায় কয়েকজন আসামি রিমান্ডে আছেন। দুজন আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সময় মেহরাজ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। ঘটনার ভিডিও ফুটেজেও তাকে দেখা যায়নি। অন্যান্য আসামি তার বন্ধু হওয়ায় তাকে অনুমানের ভিত্তিতে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিতে পারেন।’

গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে ছুরিকাঘাতে খুন হন প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ।
ঘটনার পরের দিন বনানী থানায় মামলা করেন নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নাম না দিয়ে আসামি করা হয় আরও ২৫-৩০ জনকে। সে মামলায় ১ নম্বর আসামি মেহরাজ। গত বুধবার রাতে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করেছে গাইবান্ধা থেকে।
মামলায় বলা হয়েছে, মেহরাজ ইসলাম তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে পারভেজের মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বুকের বাম পাশে সজোরে আঘাত করেন।
আদালতে শুনানিকালে মেহরাজ কোনো কথা বলেননি, তিনি শুধু কান্নাকাটি করেছেন।
আলোচিত এ মামলায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি মাহাথির হাসান ও আল কামাল শেখ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিলে তাদের কারাগারে রাখা হয়েছে। আলভী হোসেন জুনায়েদ, আল আমিন সানি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজী আছেন রিমান্ডে। তাদের সঙ্গে যোগ হলেন মেহরাজ ইসলাম।