রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় আরেক শিক্ষার্থী ফারিহা হক টিনাকে (২০) গ্রেপ্তারের পর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
শুক্রবার বিকেলে আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে বনানী থানা পুলিশ। এরপর ‘মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য’ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা, বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) একেএম মইনুদ্দিন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) তালেবুর রহমান টাইমস অব বাংলাদেশকে জানিয়েছেন, পারভেজ হত্যা মামলায় যে দুজন নারী অভিযুক্ত, তাদের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত টিনা একজন।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘এরআগে আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গ্রেপ্তার আসামি মাহাদী হাসান ঘটনার সাথে জড়িত বলে আসামি ফারিয়া মাহবুব, ওরফে টিনার নাম উল্লেখ করেছেন। তদন্তের স্বার্থে টিনাকে রিমান্ডে নিয়ে হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা প্রয়োজন।’
শুক্রবার ভোর রাতে ঢাকার নর্দা জগন্নাথপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-১ এর সদস্যরা টিনাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। গ্রেপ্তারকৃত নারী ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।
এরআগে, পারভেজ হত্যা মামলায় ২০ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. আল কামাল শেখ, ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯) নামে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
এ নিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ৫ আসামিকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯ এপ্রিল বিকালে ক্যাম্পাসের সামনে বান্ধবী নিয়ে ‘হাসিহাসি’র অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই বহিরাগত কিশোর গ্যাং ডেকে আনলে বাকবিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে নিহত হন পারভেজ। তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকার বিরুনিয়া ইউনিয়ন। তার বাবা জসিম উদ্দিন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওইদিন রাতেই নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জন আসামি রয়েছেন।