‘পায়রা বন্দরের উচ্ছেদে’ ছয়টি রাখাইন পরিবার আশ্রয়হীন

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ছ-আনিপাড়ার ভিন্ন ভাষাভাষী সংখ্যালঘু রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর ছয়টি পরিবারকে উচ্ছেদ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উচ্ছেদের শিকার ছয়টি রাখাইন পরিবারের একজন সদস্য চিংদামো রাখাইন। সোমবার সকালে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পায়রা বন্দর নির্মাণের জন্য দ্বিতীয় দফায় জমি অধিগ্রহণের সময় বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের আড়াইশ বছরের প্রাচীন বসতভিটা অধিগ্রহণ করেছে। এ জন্য তারা আমাদের সাথে কোনো আলোচনা পর্যন্ত করেনি। অধিগ্রহণের পর শুধুমাত্র গাছপালা ও বসতবাড়ীর ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমরা কিছু টাকা পেয়েছি। কিন্তু ভোগদখলকৃত জমির ক্ষতিপূরণ এখনো কেউ পায়নি।’

ভুক্তভোগী চিংদামো রাখাইনের আরো অভিযোগ, ‘দীর্ঘ ৩৭ মাস অতিবাহিত হলেও এখনও এ বিষয়ে কার্যকর কোনো সমাধান হয়নি। বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা বাসা ভাড়া দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ছয় মাস পর সেটি বন্ধ করে দিয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই আলোচনা সভায় মানবাধিকার কর্মী দীপায়ন খীসা, আদিবাসী ফোরামের মেইনথিন প্রমীলা, মংচোথিন তালুকদার, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, এএরআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, জাসদের নাজমুল হক প্রধান, নাগরিক উদ্যোগের জাকির হোসেন, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস অভিযোগ করে বলেন, ‘ষাটের দশকে সেখানে ষাট হাজার রাখাইন বসবাস করতেন। এখন তারা উচ্ছেদ হতে হতে বিলুপ্তির পথে। সেখানে ভাষা আন্দোলনের যোদ্ধা উ সুয়ে’র নামেও কোনো স্থাপনা করা হয়নি। মূলত সেখানে আদিবাসীদেরকে উচ্ছেদ করে নিঃশেষ করে দেওয়া হচ্ছে।’

 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *