রাজধানীর পল্লবীতে চাঁদা না দেয়ায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও গুলির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পল্লবীতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-গুলির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি জড়িতদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।’
শুক্রবার বিকাল পাঁচটার দিকে পল্লবীর আলব্দিরটেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে হামলা-গুলির এই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি করেছে বলে জানায় পুলিশ।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে শরিফুল ইসলাম নামে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা আহত হন। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। যারা হামলা ও গুলি করেছে তাদের কাউকে এখনো শনাক্ত করা হয়নি। শনাক্তে কাজ চলছে।
এ কে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. কাইউম আলী খান। তার ছেলে আমিমুল এহসান শনিবার বলেন, তিন সপ্তাহ আগে জামিল নামের এক ব্যক্তি তার বাবার কাছে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় দুই দফায় তাদের প্রতিষ্ঠানে হামলা করে সিসি ক্যামেরাসহ অনেক কিছু নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী এসে তাদের প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এ সময় তারা গুলিও করে। গুলিতে একজন আহত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান।