টাকার বিপরীতে ডলারের আকস্মিক দরপতনের প্রেক্ষাপটে নিলামের মাধ্যমে ২২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ৩৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার আন্তব্যাংক লেনদেনে আয়োজিত নিলামের মাধ্যমে এই ক্রয় সম্পন্ন হয়, যেখানে প্রতি ডলারের কাট-অফ রেট নির্ধারণ করা হয় ১২১ টাকা ৫০ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ডলারের দামে হঠাৎ পতন দেখা দেওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে হস্তক্ষেপ করেছে। এর লক্ষ্য হলো মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আনা এবং রপ্তানিকারক ও প্রবাসী আয়কারীদের স্বার্থ রক্ষা করা।
এর আগে ১৩ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৮টি ব্যাংক থেকে ১৭১ মিলিয়ন ডলার কিনেছিল। সেটি ছিল বাজার ভিত্তিক বিনিময় হার চালুর পর প্রথম নিলামভিত্তিক ডলার ক্রয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘আমরা চাই বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল থাকুক। হঠাৎ দর বাড়া বা কমা- অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। ডলারের দাম খুব বেশি কমে গেলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় নিরুৎসাহিত হয়।’
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন নীতির সমালোচনা করছেন অর্থনীতিবীদরা। তারা বলছেন, বর্তমানে যখন দেশে মূল্যস্ফীতি বেশ উচ্চ, তখন ডলারের দর আরও কমে গেলে তা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখতে পারত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যমতে, ১০ জুলাই পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪.৫৪ বিলিয়ন ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ২১.০৬ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপের পর আন্তব্যাংক বিক্রয় বিনিময় হার দাঁড়িয়েছে প্রতি ডলারে ১২১.৫০ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ১ টাকা ৪০ পয়সা বেশি। গত সপ্তাহজুড়ে ডলারের দর ছিল টানা নিম্নমুখী।