সংসদ নির্বাচনে আগে সারা দেশ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে ‘মহাবিপদ’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের দোসররা অবৈধ অস্ত্র ও টাকা নিয়ে সামনের নির্বাচনে এগোলে তা বিপ্দজনক হবে। যদি অন্তর্বর্তী সরকার এসব উদ্ধার করতে না পারে, তাহলে আগামী নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। তাই অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসনের মধ্যে ফ্যাসিস্টদের দোসররা নানাভাবে ঘাপটি মেরে আছে। তারা সুযোগ পেলে অন্তর্বর্তী সরকার ও গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করবে।’
‘আজকে যারা রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা প্রত্যেকে বলছেন যে, প্রশাসনের মধ্যে সচিবালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় অনেকে উদ্দেশ্য নিয়ে বসে আছেন। বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য তারা কাজ করছেন। এমন জটিল কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি যেন না হয় সেজন্য আমাদের সর্তক থাকতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
জিয়া পরিষদ উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সবশেষে রিকশা ও ভ্যানচালকদের মধ্যে রেইনকোট বিতরণ করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘আপনারা জুলাই সনদের ব্যাপারে কথা বলছেন, সেখানে যদি আইন সংশোধন করতে হয়, সংবিধান সংশোধন করতে হয় সেটা নির্বাচিত সংসদ করবে। একটি রাজনৈতিক দল বলছে, আগেই গণভোট দিতে হবে। কেন? যদি মূলনীতিতে কোনো পরিবর্তন করতে হয়, সেটা তো করবে পার্লামেন্ট।’
‘শেখ হাসিনা যেমন গায়ের জোরে চালিয়েছে, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মনের মিল হয়নি সেজন্য গোয়েন্দা সংস্থার লোককে পাঠিয়ে দিয়ে অপমান করে তাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছেন। ওই ধরনের আলামতের বৈশিষ্ট্য এখন কেন থাকবে,’ প্রশ্নে তোলেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের স্বার্থে সংবিধান সংশোধন করতে হয় সেটা নির্বাচিত সংসদ করবে। কিন্তু আগেই করতে হবে, আগেই মানতে হবে, এটা কেন? তালগাছটা আমার, সেই নিয়ে যদি চিৎকার করতে থাকি তাহলে ফ্যাসিবাদ পথ ধরেই দেওয়া হবে।’