প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আপিল বিভাগ কার্যকর সমাধান চায়, যাতে এটি বারবার বিঘ্নিত না হয়।
তিনি বলেন, ‘এখন আর সাময়িক সমাধান চাইছে না আপিল বিভাগ। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে একটি কার্যকর সমাধান খোঁজা হচ্ছে, যাতে দেশের গণতন্ত্র স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখতে পারে।‘
বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চে রিভিউ শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন তিনি।
শুনানির শুরুতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে যে বিচারপতিরা রায় দিয়েছেন, তারা সবাই পরে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।‘
এ বিষয়ে ২১ আগস্ট আপিল বিভাগের কাছে দ্রুত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রিভিউ শুনানির আবেদন করা হয়েছিল, এবং আইনজীবী শিশির মনিরের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বেঞ্চে আবেদন করা হয়। সেই অনুযায়ী, আপিল বিভাগ শুনানির দিন ধার্য করেন।
২০১১ সালের ১০ মে, আপিল বিভাগের ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) বাতিল ঘোষণা করে রায় দেয়। হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করে এই রায় প্রদান করা হয়।
এ রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবেদন করেছিলেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ আরও পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেছেন। তারা হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া, ও জাহরা রহমান।
এ ছাড়া, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও ২০২৪ সালের বছরের ২৩ অক্টোবর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আরও একটি আবেদন করেন নওগাঁর রাণীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন, যিনি পঞ্চম সংশোধনীর বিষয়ে পুনর্বিবেচনা চেয়েছিলেন।
তিনটি সংশোধনী নিয়ে মোট পাঁচটি রিভিউ আবেদন ২১ আগস্ট আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ১৭ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত হয়।