শতবর্ষে সুলতান

নাসির আলী মামুনের আলোকচিত্র প্রদর্শনী

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
প্রদর্শনীতে আগত অতিথিরা।

বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস. এম. সুলতান (১৯২৪-১৯৯৪)-এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, এইচএসবিসি বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় আয়োজন করেছে বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনী শতবর্ষে সুলতান’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী মনিরুল ইসলাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো০। মাহবুব উর রহমান। প্রদর্শনী উপলক্ষে “Seeding the Soul” শিরোনামে একটি স্মারক ক্যাটালগ প্রকাশিত হয়।

এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব উর রহমান তার বক্তব্যে বলেন’ এস এম সুলতানের বেশ কিছু কাজ দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে সুযোগ হলো ব্যক্তি সুলতানকে আরও কাছ থেকে জানার ও বোঝার। এজন্য আমি নাসির আলী মামুনকে ধন্যবাদ জানাই। আমি মনে করি, সুকুমারবৃত্তির চর্চা মানুষের মনন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন উপস্থিত সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে শিল্পকর্ম চর্চা ও রক্ষার জন্য পৃষ্ঠপোষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘মাটি ও প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়া মহিমান্বিত শিল্পী এস. এম. সুলতান। আমি ও আমার ক্যামেরা তাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করেছি। কাজটি সহজ ছিল না; তবে তার শিল্পকর্ম ও জীবনযাপনের যৌথ দৃশ্য ধরে রাখার জন্য এটি ছিল আমার প্রণোদিত চেষ্টা। তার জীবনের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করে একাত্ব হওয়ার চেষ্টা করেছি।’

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান সুলতানের একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী পড়ে শোনান। তিনি আরও বলেন, ‘নাসির আলী মামুন জীবনের একটি বড়ো সময় সুলতানকে উৎসর্গ করেছেন যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই প্রদর্শনী আমাদের সুলতানের জীবন সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবে।’

শিল্পী মনিরুল ইসলাম বলেন ‘আজ একটি বিশেষ দিন। আমি মামুনকে চিনি ৪০ বছর ধরে। তিনি সুলতানকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছেন, চিনেছেন ও বুঝেছেন। মামুনের লেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে সুলতানকে মানুষ চিনবে শতবছর ধরে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন ‘বাংলাদেশের প্রথম সারির শিল্পীদের মধ্যে অবশ্যই প্রথম দিকে নাম থাকবে এস. এম. সুলতানের। তিনি সর্বদা তাঁর শিল্পকর্মে খেটে খাওয়া মানুষের কর্মঠ দিকটি ফুটিয়ে তুলেছেন, যা আমাকে অভিভূত করেছে। গ্রামবাংলার পুরুষ ও নারীদের এই দিকটি আগে কেউ এভাবে তুলে ধরেনি।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *