পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ এবং তার পুত্র চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফতের ১৯টি ফ্ল্যাট, চারটি প্লট, দুটি বাড়িসহ ৮৫.২৯ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়। দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জব্দের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, ‘পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা ও নিজেদের মাধ্যমে একে অপরের যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতসহ মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।’
‘এ বিষয়ে দুদকের ৩ সদস্য অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, চৌধুরী নাফিজ সরাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ এবং তার পুত্র চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফতের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে স্থাবর সম্পত্তিসমূহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ তথা দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত বা বৈধ আয় বহির্ভূতভাবে অর্জন করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে’, বলেও উল্লেখ করা হয় এতে।
আরো অভিযোগ, ‘সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের সাথে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদ অর্জনের বিষয়টি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও (৩) ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
‘দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ স্থাবর সম্পত্তিসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তার, বন্ধক বা বেহাত করার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তিসমূহ অবিলম্বে ক্রোককরণ আবশ্যক’, যোগ করা হয় এতে।