‘নাগরিক পদক’ দেবে ডিএনসিসি

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
উত্তর নগর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। ছবি: সংগৃহীত

ছয় ক্যাটাগরিতে ৩০ জন সচেতন ব্যক্তিকে ‘নাগরিক পদক ২০২৫’ দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। চলতি মাস থেকে আগস্ট মাসব্যাপী আবেদন করা যাবে। তবে রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকলে ও দুর্নীতির দ্বায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ আবেদন করতে পারবেন না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে ঢাকা উত্তর নগর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

তিনি বলেন, ‘চলতি মাস থেকে ডিএনসিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করা যাবে। ডিসেম্বর মাসে সচেতন নাগরিকের হাতে এই পদক তুলে দেওয়া হবে। আবেদনপত্রে অবশ্যই প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ, কাজের প্রমাণ হিসেবে ছবি ও ভিডিও ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।’

জুরি বোর্ড চূড়ান্ত বাছাই করে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করবেন। জুরি বোর্ডে থাকবেন নগর পরিকল্পনাবিদ, সমাজসেবক, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ, মিডিয়া প্রতিনিধি। মোট ৩০ জনকে এই নাগরিক পদক দেয়া হবে, যোগ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে পদকের উদ্দেশ্যের বিষয়ে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘নাগরিক পদক হলো ডিএনসিসি কর্তৃক গৃহীত একটি মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা। এটি শুধুমাত্র একটি পদক নয়, বরং একটি অনুপ্রেরণা। এর মাধ্যমে আমরা নগরে দায়িত্বশীল নাগরিকত্বের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ’এই পদকের মাধ্যমে নাগরিকদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে শহরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, সক্রিয় ও সচেতন নাগরিক অংশগ্রহণ ছাড়া একটি আধুনিক, বাসযোগ্য ও টেকসই নগরী গড়া সম্ভব নয়।’

ক্যাটাগরিগুলো হলো-ব্যক্তি উদ্যোগ: নিজ উদ্যোগে গাছ লাগানো, রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার রাখা, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণী রক্ষায় কাজ করা ইত্যাদি।

সামাজিক সংগঠন: খাল উদ্ধার, পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা, জলাবদ্ধতা নিরসন, জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পেইন চালানো।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পরিবেশবান্ধব শিক্ষাকর্মসূচি, রিসাইক্লিং প্রকল্প, সবুজ ক্যাম্পাস গঠন, পরিবেশ ক্লাবের কার্যক্রম।

ক্ষুদ্র ব্যবসা: পরিবেশ বান্ধব পণ্য তৈরি ও প্যাকেজিং, টেকসই ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে অবদান রাখা উদ্যোগ।

মিডিয়া বা কনটেন্ট নির্মাতা: সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তথ্যভিত্তিক ভিডিও, প্রতিবেদন, আর্টিকেল এবং ইতিবাচক প্রচারমূলক কাজ।

উদ্ভাবক বা স্টার্টআপ: স্মার্ট সিটি সলিউশন, পরিবেশ সুরক্ষা বা নাগরিক প্রযুক্তি নির্ভর উদ্ভাবনী উদ্যোগ।

ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশনে ও জেলা শহরে এমন উদ্যোগ চালাতে আগ্রহী বলেও জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *