দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চে এই রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত বলেছে, দুদক জুবাইদা রহমানকে নোটিশ না দিয়েই মামলা করেছে, যা আইনসম্মত নয়। মামলার প্রক্রিয়াকেই ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ হিসেবে উল্লেখ করে আদালত আরো বলেছে, এমন অবস্থায় তারেক রহমান আপিল না করলেও তার সাজাও বাতিলযোগ্য। ফলে দুজনই মামলায় খালাস পেলেন।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কাফরুল থানায় দুদক এ মামলা করে।
অভিযোগ ছিল, তারেক দম্পতি প্রায় ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তারেককে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জুবাইদা রহমান ও তার মায়ের বিরুদ্ধে। পরে তারেক ও জুবাইদা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেককে ৯ বছর এবং জুবাইদাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
এরপর ২ অক্টোবর জুবাইদার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়, শর্ত ছিল আত্মসমর্পণের পর আপিল দায়ের করতে হবে। ১৭ বছর পর গত ৬ মে জুবাইদা দেশে ফেরেন এবং হাইকোর্টে আপিল করেন। আদালত ১৪ মে তার জামিন মঞ্জুর করে এবং আপিল গ্রহণ করে।
জুবাইদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আজকের রায়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া সব মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান।