টসের সময় দুই দলের অধিনায়কই বললেন, উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ। গলের প্রথাগত স্পিন সহায়ক উইকেট নয়, সেটা সবার আগে মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা সকালের সেশনে যেভাবে আউট হলেন, উইকেট দিলেন তাতে যে কেউ শান্তর সাথে দ্বিমতও করতে পারেন। ৪৫ রানেই প্রথম তিন উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। দুঃস্বপ্নের মতো সেই সকাল শেষে বাংলাদেশ লাঞ্চ ব্রেকে গিয়েছে শান্ত আর মুশফিকের ব্যাটে চড়ে। দিনের প্রথম সেশনে ২৮ ওভার ব্যাট করে তিন উইকেটে ৯০ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
ওপেনার আনামুল হক বিজয় ঘরোয়া সার্কিটের রান মেশিন হলেও নতুন বলের সুইং-মুভমেন্টের সাথে এখনো যে তাল মিলিয়ে ব্যাট করতে পারেন না, সেটা দেখা গেল আরেকবার। দশ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। বরং পেসার আসিথা ফার্নান্দোর সুইং-মুভমেন্টে খাবি খেয়েছেন। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা এক ইনসুইংগারে ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপ কর্ডনে।
আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম, ৫৩টা বল খেলে শুরুর সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠলেও ইনিংস আর লম্বা করতে পারেননি। অভিষিক্ত লংকান অফস্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন। অবশ্য সাদমানের সেই ডিসমিসালে কৃতিত্ব দিতে হবে বোলারকেই। বল অফস্টাম্পের বাইরে পিচ করিয়ে সাদমানকে সামনে টেনে এনেছেন। এই বাঁহাতি ওপেনার এক প্রকার বাধ্যই হয়েছেন ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে। সেখানেই বিপদ ঘটল, ব্যাটের বাইরের অংশ ছুঁয়ে প্রথম স্লিপে বল গেল ধনঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে।
মুমিনুল হক; যার সাথে ৩৪ রানের একটা জুটি হয়েছিল সাদমানের; সেই বাঁহাতিও ফিরলেন থারিন্দুর বলেই। এক্সট্রা বাউন্স করা বলে আলতো হাতে স্কয়ার ড্রাইভ করে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। মুমিনুলের ইনিংস থামে ২৯ রানে। অথচ ঘরের মাঠে দুজনই সারাবছর অফস্পিনারদের খেলেন।
৪৫ রানে তিন ব্যাটারকে হারানোর পর দলকে টানেন শান্ত আর মুশফিকুর মিলে। উইকেটে যে তেমন কোনো জুজু নেই, ব্যাট করার মতো সহজ পরিস্থিতি আছে; সেটা দেখালেন শান্তই। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে লংকান বোলারদের লাইন লেংথ এলোমেলো করেছেন। ৪৩ বলে তিনটি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত আছেন ২৫ রানে। ৩১ বলে ২০ রান নিয়ে লাঞ্চ ব্রেকে গেছেন মুশফিক। দুজনের ৭১ বলে ৪৫ রানের জুটিতে আপাতত প্রাথমিক বিপদটা কেটেছে বাংলাদেশের।