দশরথে বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ম্যাচ নিয়ে শঙ্কা

টাইমস স্পোর্টস
3 Min Read
ঐতিহাসিক দশরথে আবারও বাংলাদেশ, তবে এবার অনিশ্চয়তার ছায়া. ছবি: টাইমস কোলাজ

অক্টোবরে শুরু হতে যাচ্ছে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই। সেই গুরুত্বপূর্ণ মিশনকে সামনে রেখে সেপ্টেম্বরেই মাঠে নামতে চলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবেন জামাল ভূঁইয়ারা। ভেন্যু হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে কাঠমান্ডুর ঐতিহাসিক দশরথ রঙ্গশালা। কিন্তু এই ভেন্যুই এখন বড় শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নেপালের সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, দশরথ স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য উপযুক্ত নয়। শুধু এই ভেন্যুই নয়, কাঠমান্ডুর চ্যাসাল স্টেডিয়াম ও নেপাল আর্মি হেডকোয়ার্টার্সের মাঠকেও ‘আন্তর্জাতিক মানহীন’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর ফলে নেপাল তাদের ২০২৭ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের হোম ম্যাচগুলো খেলতে পারবে না নিজ দেশে।

এএফসি অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে বিকল্প ভেন্যু ঠিক করতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে আগামী মাসে বাংলাদেশ-নেপালের নির্ধারিত প্রীতি ম্যাচ নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। বাফুফে বা আনফার পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। ফলে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে।

দশরথ রঙ্গশালা নেপালের ফুটবল ইতিহাসে নিঃসন্দেহে এক আইকনিক ভেন্যু। ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এখানে পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিকদের সঙ্গে। সর্বশেষ ২০২২ সালের প্রীতি ম্যাচে এই মাঠেই বাংলাদেশকে ৩-১ গোলে হারায় নেপাল। তার আগে ২০১৩ সালের এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাইয়ে ঠিক একই মাঠে ২-০ গোলের জয় পেয়েছিল লাল-সবুজ।

নেপালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-নেপালের শেষ ৫ ম্যাচের ফলাফল। ছবি: টাইমস

তবে মাঠের পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ বরাবরই ছিল। খেলার গতি ধীর হয়ে যায়, পাসিং ফুটবলে ছন্দ আসে না। শক্ত আর অসমতল টার্ফে চোট পাওয়ার ঝুঁকিও থাকে বেশি। উপরন্তু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত হওয়ায় খেলোয়াড়দের দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়তে দেখা যায়। স্বাগতিকদের জন্য এটি বাড়তি সুবিধা হলেও সফরকারী দলের জন্য হয়ে ওঠে বড় পরীক্ষা।

২০১৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বা ২০১৯ সালের সাউথ এশিয়ান গেমসের আগে স্টেডিয়াম সংস্কার হলেও টার্ফের মান টেকেনি খুব বেশি দিন। অতিরিক্ত ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতির কারণে মাঠ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।

বাংলাদেশ দলের জন্য আসন্ন নেপাল সফর তাই একইসঙ্গে সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ। অক্টোবরের হংকংয়ের বিপক্ষে বাছাই ম্যাচের আগে এই দুটি প্রীতি হতে পারে প্রস্তুতির বড় মঞ্চ। তবে ম্যাচ যদি নির্ধারিত ভেন্যুতেই হয়, তাহলে জামাল ভূঁইয়াদের জন্য অপেক্ষা করছে এক কঠিন পরীক্ষা।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *