চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের কথা স্মরণ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে কোনো টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, আমাদের এই লড়াই শেষ হয়নি। সেই লড়াই চলমান রাখার জন্য, নতুন দেশ গঠনের জন্য আমরা আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি। যে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে, সেই দল এনসিপি।’ দেশের উন্নয়ন ও গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তিনি এনসিপিকে সমর্থন দেওয়ার অনুরোধ জানান।
বুধবার দুপুরে ‘জুলাই পদযাত্রা’র দ্বিতীয় দিনে কুড়িগ্রামে পৌঁছে জেলা শহরের ঘোষপাড়ায় অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন বলেন, ‘কুড়িগ্রাম মানে তিস্তার পানি চুক্তির যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি। কুড়িগ্রাম মানে মুক্তিযুদ্ধে তারামন বিবির অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া, কুড়িগ্রাম মানে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া আমার ভাইয়েরা। কুড়িগ্রাম সব সময় লড়াই করলেও অবহেলিত হয়েছে।’
উন্নয়ন মানে কেবল ঢাকার উন্নয়ন না। উন্নয়নের কথা শোনা গেলেও সেই উন্নয়ন সবার কাছে পৌঁছায় না। আগামীতে উন্নয়ন এমন হতে হবে যে উন্নয়ন কুড়িগ্রামেও সমানভাবে পৌঁছাবে, যোগ করেন তিনি।
নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের আগে অস্থায়ী মঞ্চের এই পথসভায় বক্তব্য দেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদসহ স্থানীয় নেতারা।
কুড়িগ্রাম শহরে প্রবেশের আগে জেলার রাজারহাট উপজেলায় পথসভায় অংশ নেন এনসিপি নেতৃবৃন্দ। পরে কুড়িগ্রাম শহরে পথসভা শেষে তারা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পথসভায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশে শহর ত্যাগ করেন। সেখান থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশে রওয়ানা হন তারা।