রাজধানীর নয়পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লাখো নেতা-কর্মী সমবেত হয়েছেন ‘তারুণ্যের সমাবেশ’। ভ্যাপসা গরম ও প্রখন রোদ উপেক্ষা করে বুধবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে তারা জড়ো হচ্ছেন এ সমাবেশে।
বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন– যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ডাকে এ যুবসমাবেশে দুপুরে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলীয় রোডম্যাপ ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরবেন তিনি। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি যুব নেতারাও বক্তব্য দেন।
আয়োজকরা বলছেন, সমাবেশে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের অংশগ্রহণের প্রত্যাশা করছেন তারা।
এর আগে, গত ২৮ এপ্রিল বিএনপির এই তিনটি সংগঠন দেশজুড়ে ১০টি বিভাগে চারটি যুবসমাবেশ ও চারটি সেমিনার আয়োজনের ঘোষণা দেয়। লক্ষ্য ছিল তরুণ প্রজন্মকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় করে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র কাঠামো গঠনে তাদের সম্পৃক্ত করা।
চট্টগ্রামে ৯ মে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি এরইমধ্যে খুলনা ও বগুড়ায় সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার ঢাকা সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখবেন।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, ‘চট্টগ্রামে তরুণদের বিপুল সাড়া পেয়েছি। খুলনা ও বগুড়ায় লক্ষ্য অনুযায়ী সফল হয়েছি।’
তিনি জানান, ঢাকা ছাড়াও সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে বিপুলসংখ্যক যুবক সমাবেশে যোগ দেবে।
জিলানী আরও বলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার বঞ্চিত যুবসমাজ আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে আওয়াজ তুলবে।’