সালমান শাহ শুধু নায়ক ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক প্রজন্মের স্বপ্ন। নব্বইয়ের দশকে অসংখ্য তরুণ তার হেয়ারস্টাইল নকল করতেন, জামাকাপড়ের কাটিং অনুসরণ করতেন, এমনকি হাঁটার স্টাইলও অনুসরণ করতেন। আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়ার মতো প্রচারমাধ্যম না থাকলেও, তিনি হয়ে ওঠেন সর্বজনীন ক্রেজ।
‘সালমানের দারুণ ফ্যাশন সেন্স ছিল। তিনি সেটে এসে কখনও জিজ্ঞেস করতেন না কী পোশাক পরবেন। তিনি নিজেই বলতেন এ পোশাকটা পরতে চান। যা এ দেশের অধিকাংশ নায়কের নেই। তাদেরকে পরিচালকদের বলে দিতে হয়,’—এমনটাই বললেন নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার ছটকু আহমেদ।
শুধু ছটকু আহমেদের চোখে নয়, এ প্রজন্মের চোখেও তিনি ‘স্টাইল আইকন’। কেন তাদের চোখে কোন এখনও তিনি সময়ের চেয়ে এগিয়ে?

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ফাতেহা বালাদ আততীন বলেন, ‘আমরা যদি বলিউডে তাকাই তাহলে দেখতে কাজল-শাহরুখ জুটিকে চিরসবুজ বলি। কারণ তারা সময়ের চেয়ে কয়েক দশক এগিয়ে ছিলেন। আমাদের দেশে সালমান শাহ সেরকম একজন নায়ক। যিনি ওই সময়ে এমন স্টাইল, ফ্যাশন করেছেন যা এখনও সমসাময়িক। এত বছর পরও তা পুরানো লাগে না।’
চাকরিজীবী জুবায়ের হোসেনের মতে, তিনি ছিলেন তার সময়ের চেয়ে আধুনিক ছিলেন। তার পোশাক কিংবা চোখে পরা সানগ্লাসটাও তরুণদের আকৃষ্ট করেছে। তিনি এতটা আধুনিক ছিলেন এখনও আমাদেরকে আকৃষ্ট করে তার স্টাইল।
সালমান শাহ স্মৃতি সংসদ ও টিম সালমান শাহর প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা নকীব বলেন, ‘তিনি প্রতিটা চরিত্র নিয়ে ভাবতেন। সে অনুযায়ী পোশাক পরিকল্পনা করতেন। পরিচালকের কাছ থেকে আগে থেকে তার অভিনীত চরিত্র সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতেন। যার কারণে তার অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি এখনকার তরুণদের কাছে হয়ে উঠেছেন ফ্যাশন আইকন।’