সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্ত দিয়ে আট বাংলাদেশিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
তলুইগাছা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ আবুল কাশেম এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আমুদিয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের হস্তান্তর করেন। এরপর রাতেই তাদের সাতক্ষীরা সদর থানায় পাঠানো হয়।
নাম-পরিচয় যাচাই বাছাই শেষে শুক্রবার তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক।
বিজিবি জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে ভারতের হাকিমপুর চেকপোস্ট অতিক্রমের সময় ওই আটজনকে আটক করেন বিএসএফ সদস্যরা। পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএসএফের আমুদিয়া কোম্পানী কমান্ডার ইন্সপেক্টর বিকাশ কুমার ও সাতক্ষীরার তলুইগাছা বিজিবির কমান্ডার আবুল কাশেমের মধ্যস্থতায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিএসএফের হস্তান্তর করা বাংলাদেশিরা হলেন- খুলনার কয়রা থানার নাকসা গ্রামের মোহাম্মদ মনি বিশ্বাসের ছেলে মোহাম্মদ হারুন বিশ্বাস (৩০), ময়মনসিংহের ফুলবাড়ি থানার ঢামোর গ্রামের সামসুল আলমের স্ত্রী জেবা সাবিহা বিনতে করিম (২২), কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার সুতারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ সুজন এর স্ত্রী জান্নাত বেগম (৩৫), নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভূইগড় গ্রামের আব্দুল আলিমের স্ত্রী নীপা খাতুন (৩৯), যশোরের অভয়নগর থানার পাইকপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আজিজুল বিশ্বাসের ছেলে মোহাম্মদ ইকরামুল বিশ্বাস (২৪) ও তার স্ত্রী মোছাম্মৎ রহিমা খাতুন (২৪), সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার বুড়িয়া গ্রামের সবুজ মন্ডলের স্ত্রী রূপা রানী (২৮) এবং একই থানার মহিষকুড় গ্রামের রবীন্দ্র নাথ পরামানিকের ছেলে অনাদী রঞ্জন পরামানিক (৪২)।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর একই সীমান্ত দিয়ে পতাকা বৈঠকে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় বিএসএফ।