তদন্তে ‘দোষী হলে’ আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
Highlights
  • ‘আপনারাই বলছেন, আপনাদের কথাই আমি রাখতেছি যে, প্রমাণিত না হলে কেন একটা নির্দোষ লোককে সাজা দেব? দোষী যে হবে তাকে আমরা শাস্তি দেব।’

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিষয়ে তদন্ত করার পর ‘দোষী হলে’ তাকে আইনের আওয়াতায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

জুলাই অভুত্থানের আসামি, সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশে ফেরার বিষয়ে সোমবার সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।

তার বিরুদ্ধে কেন এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তদন্ত (ইনভেস্টিগেশন) হওয়ার পরে যে দোষী হবে, তাকে আইনের আওতায় নেওয়া হবে। আপনারাই কিন্তু সবসময় বলছেন যে, নির্দোষীরা যেন কোনো অবস্থায় সাজা না পায়। এজন্য আমাদের তদন্ত করতে দেন। তদন্ত করার পর যেই দোষী হোক না কেন, কাউকেই আইনের বাইরে রাখা হবে না, তাকে আমরা অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসব ‘

‘আপনারাই আমাকে অনুরোধ (রিকোয়েস্ট) করেছেন, ‘আপনারাই বলছেন, আপনাদের কথাই আমি রাখতেছি যে, প্রমাণিত না হলে কেন একটা নির্দোষ লোককে সাজা দেব? দোষী যে হবে তাকে আমরা শাস্তি দেব।’

আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এই ঘটনায় উপদেষ্টাদের তিনজনের একটা কমিটি হয়েছে। উনাদের ওই সুপারিশ (রিকমেনডেশন) পাওয়ার পরে দোষী হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি দোষী না হয়, তারা আবার যার যার জায়গায় ফিরে আসবেন।’

জুলাই অভ্যুত্থানের একটি হত্যা মামলার আসামি হলেও সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ৭ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে ব্যাংক যান। সে সময় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ‘দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে’ পুলিশের দুইজন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার ও দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় গঠিত হয় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি।

সবশেষ চিকিৎসা শেষে প্রায় একমাস পর সোমবার রাতে দেশে ফেরেন তিনি। আবারও তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি আলোচনায় আসে।

 

 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *