গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘরে’ টাইমবোমা রেখে তদন্তকারীদের হত্যার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। জুলাই গণহত্যার তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে, অন্তত দুটি মামলার ফরমাল চার্জ এ মাসেই দাখিল হতে পারে বলেও জানান তিনি।
রোববার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর।
তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গুমের মামলাগুলো তদন্ত করছে। তদন্ত কর্মকর্তারা তিনটি আয়নাঘর খুঁজে পেয়েছেন ও তদন্ত করেছেন। যারা তদন্ত করতে গেছেন, তাদের বোমা রেখে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।’
‘টিএফআই সেলের ভেতরে ভূগর্ভস্থ অনেকটা বলা যাবে, সেমি ভূগর্ভস্থ সেলগুলো আবিষ্কার করেছে। যেগুলো ওয়াল তুলে বন্ধ করা হয়েছে। সেই ওয়াল ভাঙতে হয়েছে। পুরো গার্বেজ দিয়ে সেটাকে ভরে রাখা হয়েছে। সেগুলো সরিয়ে ক্রাইম সিনগুলো বের করতে হয়েছে। সেখানে বোমা ফিট করা ছিল। সেই বোমাগুলোর সঙ্গে টাইমার সেট করা ছিল। অ্যাপারেন্টলি বোঝা যায় যে এই ইনভেস্টিগেশন করতে যারা গিয়েছে, তাদের হত্যা করারও চেষ্টা করা হয়েছে।’
কারা এবং কেন এ কাজ করেছে তা জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আর মন্তব্য করছি না। সময় হলে জানতে পারবেন।’
আয়নাঘরে তদন্তকাজের সময় তিনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে তাজুল বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো স্ক্যান্ডাল বিচারকাজ থামাতে পারবে না। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার কোনো দুর্নীতি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।
জুলাই গণহত্যার তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা ও চানখারপুল গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। আমরা আশা করছি অন্তত দুটি মামলার ফরমাল চার্জ এ মাসেই দাখিল করতে পারব।
নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে কাজগুলো এগিয়েছে বলে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সেগুলো প্রতিদিন জনসমক্ষে আসেনি। যে কারণে অনেকে মনে করতে পারেন যে তদন্তকাজ কিছু হয়নি।’