ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৫ বছরে পদার্পণ

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান অনুষদের কিছু শ্রেণীকক্ষ ও পরীক্ষার হল হিসেবে এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে কার্জন হল।। ছবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে।

১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ ১০৫ বছরে পদার্পণ করল। পূর্ববঙ্গের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে বঙ্গভঙ্গের ক্ষতিপূরণ হিসেবে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় এক শতকের বেশি সময় ধরে দেশের জ্ঞান, রাজনীতি ও সংস্কৃতির অগ্রণী কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার ও সরকার পতন আন্দোলন পর্যন্ত বহু ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূত্রপাত ঘটেছে এই বিদ্যাপীঠ থেকে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- “বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়”।

১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাস জুড়ে নেওয়া হয়েছে নানা বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। আলোকসজ্জায় সেজেছে উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ, রোড ডিভাইডার ও আইল্যান্ডে করা হয়েছে নান্দনিক সাজসজ্জা।

সকালে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে পায়রা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, এ উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ থাকবে, তবে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তা ও শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নীলক্ষেত ও ফুলার রোড সংলগ্ন সড়কে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে উপাচার্য বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের পক্ষে কাজ করেছে।”

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসও ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা, জ্ঞানচর্চা ও গবেষণায় অনন্য ভূমিকা রেখে এসেছে। ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক গণআন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অবদান সর্বজনবিদিত। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা প্রদানে এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *