ডিসেম্বর বা জুনে নির্বাচন: ড. ইউনূস

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক থেকে নেওয়া
Highlights
  • ‘এটি আমাদের জন্য একটি রূপান্তরমূলক সময়। আমরা প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন ও অগ্রাধিকার পুননির্ধারণে মনোযোগ দিচ্ছি।’

সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে আগামী ডিসেম্বর বা জুনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছেন, তিনি বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো স্বল্প সংস্কারের ব্যাপারে একমত হয়, তাহলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন সম্ভব। তবে বৃহত্তর সংস্কার পদ্ধতি গ্রহণ করা হলে তা আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।’

বুধবার (৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটনের সঙ্গে বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করতে যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা কামনা করেছেন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘস্থায়ী ও বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্কের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা, পোশাক খাত ও বিমান চলাচলসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

ড. ইউনূস বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি রূপান্তরমূলক সময়। আমরা প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন ও অগ্রাধিকার পুননির্ধারণে মনোযোগ দিচ্ছি।’

বাংলাদেশে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে নার্সের সংকট রয়েছে। তবে এটি কেবল আমাদের নয়, বৈশ্বিক একটি চ্যালেঞ্জ। আমরা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী চাহিদা মেটাতে নার্স প্রশিক্ষণে জোর দিতে চাই।’

সরকারি স্বাস্থ্য কার্যক্রম বর্তমানে প্রায় অকার্যকর উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, ‘এখানে যুক্তরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। একইসঙ্গে ওষুধ শিল্পেও রয়েছে সম্ভাবনা। আমরা অনুরোধ করছি, পেটেন্ট সুরক্ষার বাধা তুলে দিয়ে সামাজিক ব্যবসার মডেলে টিকা উৎপাদনের সুযোগ নিশ্চিত করা হোক।’

বৈঠকে ব্যারোনেস উইন্টারটন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের একটি দীর্ঘ ও বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক রয়েছে। চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া সন্তোষজনক।’

তিনি বাংলাদেশের সাংবিধানিক সংস্কার কর্মসূচির প্রধান আলী রিয়াজের সঙ্গেও পৃথকভাবে বৈঠক করেন।

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, টেক্সটাইল খাতের আধুনিকায়ন এবং প্রতিরক্ষা ও বিমান চলাচলে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র অনুসন্ধানে যুক্তরাজ্যের সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাই।’

দুই পক্ষ প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বে আগ্রহ প্রকাশ করে।

জেন্ডার সমতার বিষয়ে ইউনূস বলেন, ‘আমরা সব খাতে নারীর অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দিই। নারীর ক্ষমতায়ন আমাদের উন্নয়ন কৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *