১৬ মাস আগে পূর্ব বিরোধের জেরে খুন হন ইমরান হাওলাদার (৩২)। খুনের পর লাশ ডোবায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় খুনিরা। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজতে মাঠে নামে পুলিশ। কিন্তু কোনো ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এলআইসি শাখার ডিএনএ বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত একজনের ডিএনএ আলামত হিসেবে শনাক্ত করেন।
পরে ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচিংয়ে জানা যায়, তার নাম মো. সেলিম মাতবর ওরফে রফিক (৪৯)। তার বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ ও রাজধানীর বাড্ডা থানায় তিনটি মামলাও রয়েছে। গতকাল সোমবার সিআইডির আইনগত গোয়েন্দা শাখা (এলআইসি) তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে রাজধানীর ডেমরার সারুলিয়ায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি টোল উত্তোলন নিয়ে বিরোধের জেরে রাতে ঝালকাঠি জেলার নলছিটির নান্দিকাঠি গ্রামের রাস্তার ওপর ভুক্তভোগী ইমরান হাওলাদারকে (৩২) পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে খুন করে লাশ পাশের কচুরিপানা ভর্তি ডোবার পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে নিহত ইমরানের পিতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার বাদী হয়ে নলছিটি থানায় মামলা (নং-৮) করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, গ্রেপ্তার সেলিম মাতবরকে যথানিয়মে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও মামলার এক নম্বর অভিযুক্ত আসামি আল আমিন হাওলাদার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ডিএনএ বিশেষজ্ঞরা তার ডিএনএ প্রোফাইল প্রস্তুত করেন এবং ঘটনাস্থলে পাওয়া আলামতের পরীক্ষা করে আল আমিন হাওলাদারের ডিএনএ ম্যাচিং পাওয়া যায়।