ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন, বাছাই এবং চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া ও ভোটের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চেয়েছে আদালত।
সোমবার বিকালে হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। হাইকোর্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির এবং রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

রিট আদেশে ডাকসু নির্বাচন ট্রাইব্যুনালকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর জড়িত থাকার অভিযোগ নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ট্রাইব্যুনালকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্ট রিট আবেদনকারীকে ১৫ দিনের মধ্যে সব প্রাসঙ্গিক নথিপত্রসহ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শিশির মনির।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী এসএম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। এদিন বিচারপতি এসকে তাহসিন আলী ও হাবিবুল গণির সমন্বয়ে একটি বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়।
বামজোট মনোনীত ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম ওই রিট দায়ের করেন।
রিটে বলা হয়, এসএম ফরহাদ ৫ আগস্টের আগে ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন, এরপর কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলে প্রার্থী হলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ডাকসুর ভোটগ্রহণের কথা।