স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির।
এই নির্বাচনে অংশ নিতে সোমবার নিজেদের প্যানেল ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
২৮ সদস্যের এই প্যানেলে প্রতিনিধিত্ব করছেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী, আপ বাংলাদেশ এবং ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যরাও।
ছাত্রশিবিরের প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচন করবেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে লড়বেন শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ। সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
দুপুরে সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম তুলে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
সেখানে জানানো হয়, শিবিরের প্যানেলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এক চোখ হারানো খান জসিমকে আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিজয় একাত্তর হলের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলামকে সদস্য পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন ইকবাল হায়দার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে আসিফ আবদুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক পদে শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আরমান হোসাইন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ফাতেমা তাসনিম জুমা; কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম সাব্বির, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে এম এম আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক সাখাওয়াত জাকারিয়া, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সদস্য পদে লড়বেন সর্ব মিত্র চাকমা, বেলাল হোসেন অপু, ইমরান হোসাইন, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, আনাস বিন মনির, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও রায়হান উদ্দিন।
নব্বইয়ের দশকে শিবিরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করতে না দেওয়ার বিষয়ে একমত ছিল সেসময় ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলো। এরপর থেকে শিবিরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশ নিতে দেখা যায়নি।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের নেতা- কর্মীরা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেন। যাদের মধ্যে অনেকেই এতদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হিসেবে পরিচিত ছিলেন।