রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।
ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ সোমবার (২৮ এপ্রিল) শুনানি শেষে এ জামিন আদেশ দেন।
আদালতে মেঘনা আলমের পক্ষে তার আইনজীবী মহসিন রেজা, আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব জামিন শুনানি করেন। শুনানি শেষে নারী বিবেচনায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আইনজীবী মহিমা বাঁধন বলেন, ‘এর আগে ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল হয়েছে। ধানমন্ডি থানার মামলায় জামিননামা জমা দেওয়া হয়েছে। আজকেই কারাগারে জামিনের কাগজ পৌঁছে যাবে৷ সেক্ষেত্রে তার কারামুক্তিতে কোন বাধা নেই।’

গত ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার এ মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত শুনানি শেষে মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখান।
মামলায় বলা হয়েছে, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত দুই-তিন জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুন্দরী নারীদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছিলেন। দেওয়ান সমির ‘কাওয়াই গ্রুপ’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক।
ইতোপূর্বে দেওয়ান সমিরের মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। নারীদের ওই প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করা হতো। ম্যানপাওয়ার ও অন্যান্য ব্যবসাকে অধিকতর লাভজনক করার জন্য অন্য আসামিদের সহায়তায় বিভিন্ন কূটনীতিককে টার্গেট করে ব্লাকমেইল করতেন সমির। তিনি এভাবে বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে আদায় করতেন।
সৌদি কূটনীতিকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মেঘনা আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় দেওয়ান সমিরকে গ্রেপ্তার করে কয়েক দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।