এম. সাইফুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম মিঠু ।।
জামায়াতে ইসলামী আমির শফিকুর রহমানসহ দলের চার নেতার কানাডা সফরের আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ‘পরিচিতি পত্র’ পাঠানোকে ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সচরাচর রাষ্ট্রীয় পদে না থাকা কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির জন্য এ ধরনের কূটনৈতিক নোট পাঠানো হয় না বলেই জানিয়েছেন সাবেক কূটনীতিকরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার উইং থেকে গত ১১ আগস্ট ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনে পাঠানো ওই চিঠিতে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সফরের কথা উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর বা কাছাকাছি সময়ে আমির শফিকুর রহমান কানাডা সফরে যাবেন। তার সঙ্গে প্রতিনিধি দলে থাকবেন নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান এবং ব্যক্তিগত সচিব মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
চিঠিতে সফরকে ‘অফিসিয়াল পারপাসে’ বলা হলেও বিস্তারিত উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হয়নি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ুন কবীর দ্য ডেইলি টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় কখনো কখনো সৌজন্যমূলকভাবে পরিচিতি পত্র দেয়। এটি আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি নয়। হাইকমিশন চাইলে এর জবাব দিতে পারে, নাও পারে। তবে রাজনৈতিক দলের জন্য এমন চিঠি সচরাচর দেওয়া হয় না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার উইংয়ের মহাপরিচালক এটিএম আবদুর রউফ মণ্ডল কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি জানান, অফিসে গিয়ে কাগজপত্র না দেখে কিছু বলা সম্ভব নয়।
সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বিস্তারিত কর্মসূচি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ চিঠি দেওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে, জামায়াত কি তাহলে সরকারের অংশ? কারণ, সরকার সংশ্লিষ্ট ছাড়া এ ধরনের চিঠি ‘সচরাচর’ দেওয়া হয় না। এক বছর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে জামায়াত ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো নিয়মিত প্রকাশ্য রাজনীতিতে ফিরে এসেছে।