জাকসু নির্বাচনে প্রার্থীর ‘ডোপ টেস্ট’ বাধ্যতামূলক

টাইমস ন্যাশনাল
2 Min Read
Highlights
  • এর আগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনেও প্রার্থীদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য মাদক পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার রাতে জাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান অবিলম্বে যোগ্য সব প্রার্থীর ডোপ টেস্ট নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে ওই চিঠি দেন।

গত রোববার প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করে জাকসু নির্বাচন কমিশন। ওই বৈঠকে নির্বাচনী পরিবেশকে আরও সুস্থ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করার নানা কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। এতে প্রার্থীদের নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা ও ন্যায্যতা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি সামনে আসে।

মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা প্রার্থীদের নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এক বৈঠক করেছি। প্রাথমিক পরিকল্পনায় ডোপ টেস্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি ও মতামত পর্যালোচনার পর নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতভাবে এটি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার জানান, ৩৩ বছর পর আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী- হঠাৎ করেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রার্থীদের দু-এক দিন সময় দিয়ে মাদক পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট) করা হবে।

প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে এই পরীক্ষা করাতে পারবেন বলেও জানান মাফরুহী সাত্তার।

এর আগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনেও প্রার্থীদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে মোট ১৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গত শুক্রবার জাকসুর নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব রাশিদুল আলম প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, ১৭৯ জন প্রার্থীর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ১০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া অন্য পদগুলোতে কতজন প্রার্থী থাকবেন তা এখনো জানা যায়নি।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *